এইচ এম সোহেল
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সরকারি খাল দখল করে ব্যবসার জন্য স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় হুমায়ুন কবির সহ দুধল পির সাহেবের নামে
সম্প্রতি এ বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি অবহিত করলেও তার ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেও পরবর্তী তে ত আবার পুনরায় নির্মান কাজ চালানো হচ্ছে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সড়কের পাশে খালটি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছেন স্থানীয় রেজাউল ইসলাম সহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।
এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলদকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সংশ্লিষ্টা কর্তৃপক্ষ এর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তবে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের জমির ওপর দিয়ে খাল খনন করা হয়। বর্তমানে যে খালটিতে দোকানঘর নির্মাণ করছি, সেটি আমোদের মালিকানাধীন। আর আমাদের জমিতে যা ইচ্ছা তাই করতে পারি।
চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ কালাম বলেন, এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে বিষয়টি আমি জানার পর কাজ বন্ধ করতে বলেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকতাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
বরিশাল সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজাহারুল ইসলাম বলেন বর্তমানে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। দখলকারীরা বলছে তাদের ব্যক্তিগত জমি, তাই সরকারি সার্ভেয়ার ও দখলকারীদের পক্ষ থেকে আরো এক একজন সার্ভেয়ার নিয়ে অচিরেই খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে, তিনি আরও জানান।
রোডস এন্ড হাইওয়ের জমি অধিগ্রহণ করার সময় সবাইকে জমির দাম দিয়ে দিলেও পরে সবাই আবার পুনরায় সেই জমি দখল করে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে সংবাদ কর্মিরা জানতে চাইলে সেই ভূমি কর্ম কর্তা জানায় রোডস এন্ড হাইওয়ে ও জেলা পরিষদ আওতাধীন সবাই উদ্দেগ নিলে আমরাও এক সাথে এই খাল দখল মুক্ত করতে পারবো।