1. live@www.thedailydokhinershomachar.com : দৈনিক দক্ষিণের সমাচার : দৈনিক দক্ষিণের সমাচার
  2. info@www.thedailydokhinershomachar.com : দৈনিক দক্ষিণের সমাচার :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বরিশালের ঋন গ্রস্ত যুবকের আত্মহত্যা টিকটকে পরিচয়ে দুই কিশোরীর প্রেম, পুলিশে দিল পরিবার মৈলভীবাজারে দেখা মিললো সোনালি রঙ্গের কৈ মাছ নগরীর কেডিসি তে আওয়ামী লীগ নেত্রীর মাদক ব্যাবসা রমরমা বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষনার দাবিতে জাপা প্রার্থীর মামলা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে এসির আউটডোর মেশিন চুরির বহুল আলোচিত ঘটনার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে নগর পুলিশের তৎপরতায় চোরাই মালামাল সহ আটক ১জন পুলিশ কমিশনারের কাছে কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই সাইফুল এর নামে এক ভুক্তভোগী মহিলার অভিযোগ। নগরীতে হারিয়ে যাওয়া নগদ অর্থ ও অলংকার ফিরিয়ে দিয়ে প্রসংশায় ভাসছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ নিজের সন্তান কে বিক্রি করে মোবাইল ও পায়ের নূপুর কিনলেন মা পিরোজ পুর এলজিডির ৫ কর্মকর্তা গ্রেফতার

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

সম্পদের পাহাড় তবুও সে গরীব’ এবং ‘এ যেন গরীবের হাতে আলাউদ্দিনের চেরাগ’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের তীব্র প্রতিবাদ
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘টাইমস অব বরিশাল’ এবং ‘নিউজ বরিশাল’ এ ২৮ মার্চ ২০২৫ খ্রি. তারিখ থেকে প্রকাশিত একটি বিভ্রান্তিকর খবর আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও হেয় প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে করা হয়েছে । উক্ত খবরের অসত্যতা নিম্নে তুলে ধরা হল:
সম্পদ: আমার সরকারি চাকরির বয়স ৩৪ বছর যার মধ্যে ৮ বছর দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চাকরি করার সুযোগ হয়েছে এবং বাকী সময়টা সরকারি নির্দেশে বরিশালেই কেটেছে। আমার স্ত্রীও একজন চাকরিজীবী, তিনি সহকারী অধ্যাপক এবং তাঁরও চাকরির বয়স বর্তমানে ২৮ বছর । আমরা উভয়েই সারা জীবন সর্বোত্তম সততা ও নিষ্ঠার সাথে অদ্যাবধি শিক্ষকতা করছি। আমরা পরিচিত কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের সাথে মিলে যৌথভাবে একখন্ড জমি কিনে নিজেদের সুপারভিশনে ভবন তৈরি শুরু করে অসমাপ্ত ভবনে কোনরকম বাসযোগ্য করে একটি ফ্লাটে বসবাস শুরু করেছিলাম আজ থেকে ১০ বছরেরও বেশী সময় আগে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে অপর একটি ফ্লাটের নির্মাণ শেষ হলেও অদ্যাবধি ভবনের কাজ সমাপ্ত হয়নি। উল্লেখ্য যে ভবনের ফ্লাট গুলোর প্রতিটির সর্বোচ্চ সাইজ মাত্র ৯০০ ব.ফু. এবং ভবন নির্মাণের সময় এরুপ দুটি ফ্লাটের শেয়ার অন্যান্য সদস্যদের মত আমিও লাভ করেছিলাম। কাউনিয়াতে বেশ কয়েক বছর আগে ছোট একখন্ড জমি কেনা হয়েছিল যার পাসকৃত প্ল্যান অর্থাভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় চারপার্শ্বে ভবন বেষ্টিত হয়ে খালি পড়ে আছে। আমাদের বেতনের সাথে সংগতি রেখেই আমাদের সঞ্চয়, পৈত্রিক সম্পদ থেকে সংগৃহিত অর্থ , ধার দেনা এবং ব্যাংক লোন নিয়ে সৎপথে উপার্জিত অর্থে মাথা গোঁজার ঠাঁই ও বেঁচে থাকার জন্য উক্ত সম্পদটুকু করা হয়েছে। আমার ব্যাংক লোনের কিস্তি এখনও চলমান। আমরা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই নিয়মিত ইনকাম ট্যাক্স দাতা এবং আমাদের ইনকামট্যাক্স ফাইলে আমাদের সবটুকু সম্পদের বিবরণ দেয়া আছে । এর বাইরে আমাদের নামে বা বেনামে কোন অবৈধ আয় বা সম্পদ নাই। নিউজ পোর্টালে দেখানো বাড়ীটির মালিক যৌথভাবে আমার মত আরও ২০ জন। সুতরাং, খবরে প্রকাশিত অবৈধ সম্পদের বিষয়টি সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া ও অসংগতিপূর্ণ।
ম্যাগাজিন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও তেলবাজি: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ম্যাগাজিন তৈরি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিগত ১৩/১২/২০২৩ খ্রি. তারিখে ম্যাগাজিন কমিটি গঠিত হয় এবং ম্যাগাজিনের বিষয়বস্তুও তখন নির্ধারিত হয়। বিষয়বস্তুর সাথে সংগতি রেখে ম্যাগাজিন কমিটি/সম্পাদনা কমিটি ম্যাগাজিনটির প্রকাশনার কাজ করে। ম্যাগাজিনের জন্য প্রাপ্ত লেখা যাচাই বাছাইসহ আনুষাংঙ্গিক কাজ ০১/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখে সমাপ্ত হয় । এ কমিটির সিনিয়র সদস্য হিসেবে পাঠকের উদ্দেশ্যে গতানুগতিক নিয়মে তৎকালিন ধারা অনুযায়ী ‘সবিনয় নিবেদন’ লেখা হয়েছে। তেলবাজি আমি কখনোই করিনি, এটি আমার স্বভাবেও নেই । ম্যাগাজিনটি প্রিন্ট হয়ে প্রতিষ্ঠানে আসতে আসতে শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ম্যাগাজিনটি বাতিল করা হয়। সুতরাং এ সম্পর্কে উথ্থাপিত অভিযোগটি অপব্যাখ্যা মাত্র। সুতরাং এবিষয়ে অভিযোগটি অসত্য ও অতিরঞ্জিত।
রোভার স্কাউট পরিচালনা: স্কাউটিং একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবামূলক অরাজনৈতিক শিক্ষামূলক আন্দোলন। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রমের সময় সেসন ফি এর সাথে রোভার স্কাউট প্রোগ্রাম পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থ প্রতিষ্ঠানের রোভার তহবিলে জমা হয়, তাথেকে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী জেলা রোভারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা রোভার তহবিলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতিবছর জমা দেয়া হয়। বাকী অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে জেলা রোভারের নির্দেশনা ও বাংলদেশ স্কাউটস এর গঠন ও নিয়মানুযায়ী রোভার স্কাউটিং এর প্রোগ্রাম সমূহ পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করা হয় এবং উক্ত অর্থ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ করেই ব্যয় করা হয়, এখানে কোনপ্রকার ব্যত্যয়ের সুযোগই নেই। বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২টি রোভার ইউনিট এবং ১টি গার্ল-ইন-রোভার ইউনিট আছে। ইউনিট তিনটিতে বর্তমানে ৪ জন রোভার নেতা এবং ১জন গার্ল-ইন-রোভার নেতা আছেন। আমিও এ গ্রুপের একজন রোভার নেতা এবং স্কাউটিং এর প্রচলিত নিয়ম ও সিনিয়র পারসন হিসেবে সম্পাদকের দায়িত্ব আমার উপরেই বর্তায়, তথাপি আমার চাকরির বয়স শেষের দিকে হওয়ায় রোভার নেতাগণের মধ্যে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ নেতাকে স্কাউটিং এর কার্যাবলী পরিচালনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে অনেকদিন আগেই । রোভার নেতাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে এর প্রোগ্রাম নির্ধারণ করা হয়। স্কাউটিং এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিষয়ভিত্তিক দক্ষ বহিরাগত কিংবা আভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ প্রদানের নিয়ম রয়েছে এবং রোভার স্কাউটদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ পরিচালনার বিষয়ে গ্রুপ সভাপতি অধ্যক্ষ মহোদয়ের অনুমতি আছে । অধিকাংশ ক্ষেত্রে অত্র প্রতিষ্ঠানেরই প্রাক্তন রোভারগণ বর্তমান রোভারগণের আমন্ত্রণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকেন । ছাত্রীদের এক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার কথা নয়, তা’ছাড়া গ্রুপের কোন রোভার নেতার কাছে বা গার্ল-ইন-রোভার নেতার কাছে অথবা অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে কোন ছাত্রী এযাবত কোন অভিযোগ দাখিল করেনি বা জানায়নি। সুতরাং অভিযোগটি সত্য নয়।
ম্যাগাজিন ও রোভার স্কাউটের অর্থ : সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় অধ্যক্ষ মহোদয় অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে এবং যাচাই-বাছাই পূর্বক করে থাকেন। এক্ষেত্রে ম্যাগাজিনের সম্পাদক বা কোন সদস্যের, রোভার স্কাউটের কোন নেতা বা গ্রুপ সম্পাদকের আর্থিক অনিয়ম করার কোন সুযোগই নাই। এটি অধ্যক্ষ মহোদয়ের স্টেটমেন্টেও স্পষ্ট হয়েছিল। তারপরেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও আপত্তিকর।
সংবাদটি না করা বিষয়ক: অভিযোগগুলো অসত্য ও ভিত্তিহীন হওয়ায় একজন নিবেদিত সিনিয়র শিক্ষক ও রোভার নেতার সম্মান হানিকর অসত্য খবর প্রচার না করার অনুরোধ করা হয়েছিল মাত্র, তথাপি অসত্য সংবাদটি প্রচার করে কার কী লাভ হল জানিনা, তবে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করা হল।
পরিশেষে অসত্য ও ভিত্তিহীন সংবাদটি প্রচার করে আমার ৩৪ বছরের নিষ্ঠা ও সততার সাথে শিক্ষকতাকে এবং নিবেদিতভাবে স্কাউট আন্দোলনে সেবাদানকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এহেন কাজে আমার সম্মান হানি হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
পবিত্র কুমার হালদার
চিফ ইনস্ট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (মেকানিক্যাল)
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
বরিশাল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট