বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিকদার বাড়ি ও হাওলাদার বাড়ির মাঝখানে একটি কচুরিপানা বেষ্টিত ডোবায় অজ্ঞাত এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত ভাসমান লাশ উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করে মামলা রুজু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্য দুই আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয় বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।তারা হলেন সাকিব ও মুন্না তাদেরকে বরিশালে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। আজ বিকালে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত তথ্য জানান।
এয়ারপোর্ট এবং কাউনিয়া থানা সীমান্তবর্তী বাঘিয়া গ্রামের মোঃ শাজাহান হাওলাদার এর কচুরিপানা ভর্তি পরিত্যক্ত ডোবায় একজন অজ্ঞাত নামা যুবকের অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাল গেঞ্জি এবং কালো জিন্স পরিহিত অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করে।
পুলিশ জানান আসামীদ্বয় মাদকের সাথে জড়িত তারা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত।মৃত হাসানের কাছ থেকে টাকা পয়সা,মোবাইল ছিনতাই করে তাকে হত্যা করে ফেলে যায় সাকিব ও মুন্না।
বরিশাল পুলিশ কমিশনার, বিএমপি, এর দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ—পুলিশ পুলিশ কমিশনার উত্তর এবং অফিসার ইনচার্জ, এয়ারপোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জের নের্তৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে মামলা রুজু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অজ্ঞাত লাশ সনাক্তসহ হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামী সাকিব এবং মুন্নাকে গ্রেফতার, তাদের হেফাজত হতে মৃত হাসানের ব্যক্তিগত মোবাইল উদ্ধার এবং আসামীদ্বয়ের দেওয়া তথ্য মতে ঘটনাস্থল হইতে শ্বশরুদ্ধ করে হত্যা কাজে ব্যবহৃত বেল্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন আমরা এয়ারপোর্ট এবং কাউনিয়া থানা সীমান্তবর্তী বাঘিয়া গ্রামের মোঃ শাজাহান হাওলাদার এর কচুরিপানা ভর্তি ডোবা থেকে অজ্ঞাত একটি লাশ উদ্ধার করি যা ক্লুলেস ছিল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে লাশ শনাক্ত করে হত্যার সাথে জড়িত দুই জনকে আটক করি।এবং আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মামলা দ্বায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।