দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর এলজিইডির জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডি অফিসের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দুদক।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে তাদের গ্রেফতারের পর পিরোজপুর সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার পিরোজপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ—পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতাররা হলেন— পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. মোহাসীন, এসএএস সুপার মো. মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট এ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ—পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এসব দুর্নীতির অভিযোগে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্য থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের কয়েকটি তদন্ত টিম পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ পায়। কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করাসহ এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ের গরমিল পায় তদন্ত কমিটি।
পরবর্তীতে দুদক বিষয়টি তদন্ত করে। এতে পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত বলে প্রমাণ পায়। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।