1. live@www.thedailydokhinershomachar.com : দৈনিক দক্ষিণের সমাচার : দৈনিক দক্ষিণের সমাচার
  2. info@www.thedailydokhinershomachar.com : দৈনিক দক্ষিণের সমাচার :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বরিশালের ঋন গ্রস্ত যুবকের আত্মহত্যা টিকটকে পরিচয়ে দুই কিশোরীর প্রেম, পুলিশে দিল পরিবার মৈলভীবাজারে দেখা মিললো সোনালি রঙ্গের কৈ মাছ নগরীর কেডিসি তে আওয়ামী লীগ নেত্রীর মাদক ব্যাবসা রমরমা বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষনার দাবিতে জাপা প্রার্থীর মামলা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে এসির আউটডোর মেশিন চুরির বহুল আলোচিত ঘটনার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে নগর পুলিশের তৎপরতায় চোরাই মালামাল সহ আটক ১জন পুলিশ কমিশনারের কাছে কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই সাইফুল এর নামে এক ভুক্তভোগী মহিলার অভিযোগ। নগরীতে হারিয়ে যাওয়া নগদ অর্থ ও অলংকার ফিরিয়ে দিয়ে প্রসংশায় ভাসছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ নিজের সন্তান কে বিক্রি করে মোবাইল ও পায়ের নূপুর কিনলেন মা পিরোজ পুর এলজিডির ৫ কর্মকর্তা গ্রেফতার

নগরীর কেডিসি তে আওয়ামী লীগ নেত্রীর মাদক ব্যাবসা রমরমা

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

প্রশাসন ম্যানেজ করেই বরিশাল নগরীর কেডিসিতে আওয়ামী লীগ নেত্রী পারুর মাদক ব্যবসা।বরিশালে মাদকের ভয়াল থাবায় ছড়িয়ে গেছে পুরো নগরী। বেশিরভাগ রয়েছে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড কেডিসি এলাকায় আত্মগোপনে।

কেডিসি বালুর মাঠ এলাকায় মাসে ডিবি পুলিশের দুই একটা অভিযান দেখা গেলেও তেমন মাদক উদ্ধার ও মাদককারবারিদের ধরতে তেমন অভিযান নেই প্রশাসনের। দিনরাত ২৪ঘন্টা মাদক ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেছেন একাধীক ব্যবসায়ী।৷

সরেজমিনে জানাযায়, কেডিসি বালুরমাঠ সংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এর গেটে পুরো এলাকার ভিতরে, স্কুল মাঠসহ কেডিসির মুল সড়কে প্রায় ২৫ জনার একটি টিম ২৪ঘন্টাই গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন বিক্রি করছে। তবে এসব মাদক পাইকারী সেল দিচ্ছে এক সময়ের র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী পারু ওরফে গাঁজা পারুল।

তিনি এলাকায় তৎকালীন বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী ছিলেন। সেই সাথে ১০ নং ওয়ার্ড মহিলা আ— লীগের রাজনীতি নেত্রী ও ছেলে ছাত্রীগের যুগ্ন আহবায়ক।

অভিযোগে আরো জানা যায়, গাঁজা পারুল বর্তমানে নিজে ও তার ছেলে রুবেলকে দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, সারাদিন পারুল কেডিসির রাস্তারমাথা নামক স্থানে বসে প্রশাসনকে পাহাড়া দেয়। রাতে কেজিতে কেজিতে গাঁজা ও শত শত পিচ ইয়াবা পাইকারি বিক্রি করে। সারারাত তিনি ও তার সহযোগীরা মাদক বিক্রি করে।

 

স্থানীয়রা বলেছেন প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে পারুল ও তার সহযোগীরা কিন্তু প্রশাসন তাদের ধরতে ইচ্ছুক নয়। তারই সুযোগে প্রকাশ্যে পারুল মাদকের ব্যবসা করে রাতারাতি হয়েছে কিং। গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। আবার কেউ কেউ বলছে পারুল ও রুবেল প্রশাসনকে কোন তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে পারুলসহ তার সহযোগীরা মোটা অংকের মাসহারা দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় তাদের ধরতে পুলিশের গড়িমসি।

গাঁজা পারুর এক সহযোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেদককে বলেন, ভাই প্রশাসন ম্যানেজ করে পারু আপায় ব্যবসা করে। আমি তারই বেতন ভুক্ত কর্মচারী। ভাই মাল বিক্রি করি বেতন পাই । প্রতিদিন ১লক্ষ টাকার মত সেল হয়। বালুরমাঠের ভিতর,কেডিসি গেট বিক্রি করি। আমি প্রতিদিন তিনবেলা খাই আর ১০০০ টাকা বেতন পাই। কেডিসির কৃষি অফিসের সামনে সেলুনের পাশে বসে বিক্রি করি। আমার কথা আবার আপনি প্রকাশ কইরেন না।

কারন টাকায় ম্যানেজ হচ্ছে সব এমনটি বলছেন তারা। কারন প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে প্রকাশ্যে এমন মাদক ব্যবসা জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

 

এবিষয় অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী পারুল বেগমের মুঠোফোনে মাদক ব্যবসার বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আপনি কে? আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ রয়েছে? এরপরই তার ফোন তার ছেলে পরিচয় দিয়ে প্রতিবেদককে বলেন, আমরা মাদক ব্যবসা করি তাতে আপনাদের কি? আমাদের কাজ দেন আমরা তা হলে ব্যবসা করবো না। আর মাদক ব্যবসা না করলে কি চুরি করমু? আপনি যা লেখার লিখেন। যা পারেন করেন। তারপরও মাদক ব্যবসা করবো।

 

স্থানীয়রা বলেন, ১৮বছরের কম বয়সের শিশুদের দিয়ে গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি চলছে। কারন মাদক ব্যবসায়ীদের বয়স কম তাই প্রশাসন গাঁজাসহ আটক করলেও আবার ছেড়ে দিতে হচ্ছে। বয়স কম হওয়ায় এসব মাদক ব্যবসায়ীরা থেকে যায় ধরাছোয়ার বাহিরে।

 

তবে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ বলেছেন, মাদক কেনার অর্থ জোগাড় করতে গিয়েই কিশোর ও তরুণ সমাজ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এ সুযোগে মাদক ব্যবসায়ী ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র’র সদস্যগণ খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা কাজে তাদের ব্যবহার করতে থাকে। মাদকের এই নেশার জালে একবার জড়িয়ে পড়লে কেউ আর সহজে বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলে মাদকসেবীরা দিনে দিনে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মাদক নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতিসহ পারিবারিক কলহ বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যত প্রজম্ম নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসনকে অগ্রগামী ভূমিকা পালনের আহবান জানান বরিশালবাসী।

এবিষয় বিএমপি পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, বরিশালে মাদক নির্মূল করতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। প্রতি মাসে চার থানাসহ প্রায় থেকে শতাধীক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হচ্ছে । তবে নতুন নতুন কিছু লোক মাদক ব্যবসায় যোগদান করেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের শিকড়সহ উপরে ফেলবো। এবিষয় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট