নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল::
: বরিশাল নগরীর বৈদ্যপাড়া এলাকার লিপটন খানের অচ্যার ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে প্রবাসী ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেন।
আজ (২ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় নগরীর একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সানজিদা রহমান তন্নি বলেন, তার স্বামী গোলাম হাসিব এরশাদ দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত স্পেন প্রবাসী।
গত ৫/১১/২০২৪ তারিখে তার স্বামী বাংলাদেশে এসেছেন। তার স্বামীর নিজের পৈত্রিক ভিটা বরিশাল নগরীর বি. এম. কলেজ রোড বৈদ্যপাড়া বরিশাল। ওয়ার্ড নং ২০। আমার স্বামীর সেজো ভাইয়ের কাছ থেকে বৈদ্য পাড়ার জনৈক লিপটন খানের বাড় ভাই রিপন খান প্রায় ৩.৬৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে ৫ ফিট রাস্তা যা দলিলে উল্লেখ রয়েছে।
রিপন খান আইন বহিভূত ভাবে ৬ তলা বিল্ডিং নির্মান করছে। আমার বড় ভাসুর গোলাম দস্তগীর মুরাদ জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৫ ফিট রাস্তা রেখে বাড়ি তৈরির বিষয়টি বার বার মিমাংসার উদেগ নিলেও রিমন খান, লিপটন খান এবং তাদের অন্যন্য আত্মীয় স্বজন আমার ভাসুরকে দেখে নেবার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে আমার ভাসুর আইনের আশ্রয় নেয়। আমার ভাসুরের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট এর নিদেশে বর্তমানে ৬ তলা বিল্ডিং এর কাজ স্থগীত রয়েছে। আমার ভাসুর যখন মামলা করে তখন আমার স্বামী বিদেশ ছিল।
অথচ ক্ষিপ্ত হয়ে লিপটন খান এবং তার ভাই মিলে আমার স্বামীর, বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমার স্বামী, ভাসুর এবং দেবরের বিরুদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সম্প্রতি গত ২৯/১২/২০২৪ তারিখ লিপটন খানের নির্দেশে জাকির খান পিতা: কুদ্দুস খান বৈদ্য পাড়া, বরিশাল। তাকে দিয়ে আমার স্বামী, ভাসুরের বিরুদ্ধে ৩২৫/৩২৬/৩২৩/৩৭৯/৩৮০/৩০৭/১৪৩/৫০৬(২) ধারায় বরিশাল মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত ৫ দিনের মধ্যে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাকে এফ আই আর হিসেবে গন্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই নির্দেশনায় গত (৩০ ডিসেম্বর) কোতয়ালী থানায় মামলা রুজু করা হয়। মামলা নম্বর-৬১, (৩০ ডিসেম্বর) মামলায় দুই জন আসামীকে আটক করা হয় এবং বাকী সবাই জামিনে আছে।
তার মেজো ভাসুর গোলাম ছাদেক ফরহাদ গুরুতর অসুস্থ। তার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত ও বড় ভাসুর গোলাম দস্তগীর মুরাদ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত আমি তাদের অচিরে মুক্তি দাবী করছি।
লিপটন খান বর্তমানে একাধিক মামলাসহ কাউনিয়া এলাকার আলতাফ হোসেনর পুত্র সরোয়ার হোসেন বিএনপির অফিস পোড়ানো ৪৫ নম্বর আসামী।