1. live@www.thedailydokhinershomachar.com : দৈনিক দক্ষিণের সমাচার : দৈনিক দক্ষিণের সমাচার
  2. info@www.thedailydokhinershomachar.com : দৈনিক দক্ষিণের সমাচার :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বরগুনায় ৪ মাসের শিশুকে রেখে মায়ের আত্মহত্যা বরিশালের ঋন গ্রস্ত যুবকের আত্মহত্যা টিকটকে পরিচয়ে দুই কিশোরীর প্রেম, পুলিশে দিল পরিবার মৈলভীবাজারে দেখা মিললো সোনালি রঙ্গের কৈ মাছ নগরীর কেডিসি তে আওয়ামী লীগ নেত্রীর মাদক ব্যাবসা রমরমা বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষনার দাবিতে জাপা প্রার্থীর মামলা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে এসির আউটডোর মেশিন চুরির বহুল আলোচিত ঘটনার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে নগর পুলিশের তৎপরতায় চোরাই মালামাল সহ আটক ১জন পুলিশ কমিশনারের কাছে কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই সাইফুল এর নামে এক ভুক্তভোগী মহিলার অভিযোগ। নগরীতে হারিয়ে যাওয়া নগদ অর্থ ও অলংকার ফিরিয়ে দিয়ে প্রসংশায় ভাসছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ নিজের সন্তান কে বিক্রি করে মোবাইল ও পায়ের নূপুর কিনলেন মা

পবিপ্রবিতে পুনরুজ্জীবিত বেগম জিয়ার উপহার অ্যাম্বুলেন্স: উপাচার্যের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

পবিপ্রবিতে পুনরুজ্জীবিত বেগম জিয়ার উপহার অ্যাম্বুলেন্স: উপাচার্যের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বিশেষ প্রতিনিধি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)র শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৩ সালে একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তারই সম্মানে গাড়িটিতে লিখা ছিল ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপহার’। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসন আমলে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ধংশ করা হয়েছিল, সারা দেশ থেকে বেগম জিয়া এবং তার পরিবারের নাম নিশানা নিশ্চিহ্ন করতে এবং তারা তার সকল স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার চক্রান্তে মেতে উঠেছিল। এমনকি তাদের ফ্যাসিজম থেকে রক্ষা পায়নি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)র শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবার যাতায়াতের জন্য বেগম জিয়ার উপহার দেয়া সেই অ্যাম্বুলেন্সটিও। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন (৩.১১.২০২০ইং) প্রশাসন প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে অ্যাম্বুলেন্সটিকে পবিপ্রবির মুল ক্যাম্পাস থেকে সড়িয়ে বরিশাল ক্যাম্পাসে পরিত্যক্তবস্থায় ফেলে রাখে। পবিপ্রবি পরিবারের সবার কাছে অ্যাম্বুলেন্সটি ছিল অত্যন্ত পছন্দের ও ভরসার। তারা অ্যাম্বুলেন্সটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখে এবং মুল ক্যাম্পাসের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে রাখা হলের নাম পরিবর্তন করে শেরে বাংলা হল নামে নতুন নামকরণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদান পরবর্তী পবিপ্রবি’র বরিশাল ক্যাম্পাসের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়ের জন্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বরিশাল ক্যাম্পাসে গেলে সেখানে ক্যাম্পাসের এক কোনে অ্যাম্বুলেন্সটি পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখে তিনি মর্মাহত হন এবং সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কর্মকর্তাকে ডেকে অ্যাম্বুলেন্সটি পরিত্যাক্তবস্থায় ফেলে রাখার কারণ যানতে চান এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে সেটি পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন।

উপাচার্যের নির্দেশনায় পরিবহন শাখার তত্ত্বাবধানে যথাযথ মেরামত শেষে এ্যাম্বুলেন্সটি আজ (১৮ মার্চ, মঙ্গলবার, ২০২৫) আবারও আগের রূপে ফিরে এসেছে। ক্যাম্পাসের চিকিৎসা সেবায় এ্যাম্বুলেন্সটি যুক্ত হওয়ায় এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হলটি গত সরকারের দেয়া শেরে বাংলা হল পরিবর্তন করে জিয়াউর রহমান হল নামে এবং ক্যাম্পাসের নতুন আরেকটি নির্মানাধীন হলের নাম শেরে বাংলার নামে নামকরণ করায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পুরো ক্যাম্পাস পরিবার উপাচার্যের এ মহান উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থী সোহেল রানা জনি এবং তানভীর আহমেদ খান বলেন, “অ্যাম্বুলেন্সটি এতদিন অবহেলায় পড়ে থাকায় আমাদের খুব কষ্ট লেগেছিল। কিন্তু মাননীয় উপাচার্য স্যার এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এটি আবারও সচল হওয়ায় শহীদ জিয়া হলের নামে পুনরায় যুক্ত হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল হোসেন জানান, “অ্যাম্বুলেন্সটির পাওয়ার, ইঞ্জিন, চাকা, বডি, লাইটসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ মেরামত করা হয়েছে। এখন এটি আগের মতোই হয়েছে।”

ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইমাদুল হক প্রিন্স ও সহকারী রেজিস্ট্রার রিয়াজ কাঞ্চন শহীদ বলেন, উপাচার্য মহোদয়ের এ দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মানবিক উদ্যোগে ক্যাম্পাসের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। শিক্ষার্থীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এই অ্যাম্বুলেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।”একটি পরিত্যক্ত যান আবারও সচল করে শিক্ষার্থীদের সেবায় যুক্ত করা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এটি উপাচার্য মহোদয়ের মানবিক ও দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় বহন করে।”

তারা আরও বলেন, বর্তমান উপাচার্য স্যার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টির সার্বিক উন্নয়নে একের পর এক প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বনামধন্য রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, উপাচার্য মহোদয়ের সুদক্ষ নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সেশনজট মুক্ত, মাদকমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তারই উদ্যোগে পুনরুজ্জীবিত হলো বেগম জিয়ার দেয়া উপহার বছরের পর বছর পরিত্যক্ত অ্যাম্বুলেন্সটি, যেটি এখন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের চিকিৎসা সেবায় ফিরল স্বমহিমায়। তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের যথাযথ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও এ ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন অব্যাহত থাকবে।” যাতে শিক্ষার্থীরা উন্নত সুযোগ-সুবিধা পায় এবং ক্যাম্পাস আরও উন্নত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,”পবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের কল্যাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া উপহার অ্যাম্বুলেন্সটি পুনরায় চালু করতে পেরে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। এটি আমাদের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সম্পদ কখনোই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়া উচিত নয়। এটি যারা পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছিলেন তারা এটা ঠিক করেননি। এটি সকলের কল্যাণে ব্যবহার হওয়াই যৌক্তিক। “একটি অযত্নে পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স সংস্কার করে পুনরায় সচল করা শুধু একটি যান্ত্রিক কাজ নয়, বরং এটি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। আমি চাই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সদস্য এই দৃষ্টান্ত থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করবে।” তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসেবায় এই অ্যাম্বুলেন্সটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উপাচার্য আশা প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ও চিকিৎসা বিভাগ এই অ্যাম্বুলেন্সের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে এটি দ্রুত সেবা দিতে সক্ষম হবে। ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এ ধরনের উদ্যোগ আমার পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে।”
শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপাচার্যের এ মহতি উদ্যোগের প্রশংসা করে পোস্ট দিয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবহৃত এবং ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন করা লেবুখালির বিমানসহ অন্যান্য স্থাপনা ও সম্পদ পুনরুদ্ধার করে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, উপাচার্য স্যার এর এ উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘এটাই প্রকৃত নেতৃত্ব’।।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট